মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় চরকেওয়ার ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ (নৌকা) প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের ওপর বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। এতে আব্দুল হক (৪৮) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ৫ জন।
রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুলিবিদ্ধ তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য দুইজন মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে খাসকান্দিও ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত চরকেওয়ার ইউনিয়ন। রোববার রাতে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান জীবনের সমর্থকরা নৌকার প্রার্থী আফসার উদ্দিন ভূইয়ার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে। ভাঙচুর চালায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িতে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে স্ট্রোক করে আব্দুল হক মারা যান।
তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, আব্দুল হককে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহাগ জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে কোনো গুলি বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজন হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। অন্য দুজনের চিকিৎসা চলছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্ম্কতা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, চরকেওয়ার ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে রাতে একজন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনেছি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।